সাফা-মারওয়ায় যেসব দোয়া পড়বেন

সাফা-মারওয়া সায়ি এবং দোয়া
সাফা-মারওয়া দুটি ঐতিহাসিক পাহাড়, যা পবিত্র হজ ও উমরা পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সায়ি করা ওয়াজিব, এবং এটি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পদ্ধতিতে করতে হবে। এই সায়ি প্রক্রিয়া ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং সঠিকভাবে পালন করা প্রয়োজন।
সাফা পাহাড়ে ওঠার সময় দোয়া
তাওয়াফের পর, মাকামে ইবরাহিমে দুই রাকাত নামাজ আদায় করার পর, (যদি সম্ভব হয় হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করা) ‘বাবুস সাফা’ দিয়ে সাফা পাহাড়ে আরোহণ করুন এবং এই আয়াতটি পাঠ করুন:
আরবি:
إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَا وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ
উচ্চারণ:
ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শাআয়িরিল্লাহি ফামান হাজ্জাল বাইতা আয়িতামারা ফালা ঝুনাহা আলাইহি আইয়্যাতত্বাওয়াফা বিহিমা ওয়া মান তাত্বাওওয়াআ খাইরান ফাইন্নাল্লাহা শাকেরুন আলিম।
অর্থ:
নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই যে কেউ (কাবা) ঘরের হজ বা উমরা সম্পন্ন করে, এ দু’টির মধ্যে সায়ি করলে তার কোন পাপ নেই। আর যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোন সৎকাজ করবে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ উত্তম পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৮)
সাফা পাহাড়ে দোয়া করার পর
তাওয়াফের পর সাফা পাহাড়ে ওঠার সময় কেবলামুখী হয়ে দোয়া পড়া হয়:
আরবি:
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ اَللهُ اَكْبَر
উচ্চারণ:
আলহামদুলিল্লাহি আল্লাহু আকবার।
তারপর সাফা পাহাড়ে উঠে কাবার দিকে মুখ করে উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত তুলে এ দোয়া ৩ বার পাঠ করুন:
আরবি:
أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللهُ بِهِ اِنَّ الصَّفَا وَ الْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ
উচ্চারণ:
আবদাউ বিমা বাদাআল্লাহু বিহি ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শাআইরিল্লাহ।
এ দোয়ার সাথে ৩ বার হামদ ও ছানা পাঠ করা হয়।
হামদ, তাকবির ও তাহলিল
সাফা-মারওয়া পাহাড়ে সায়ি করার সময় উচ্চস্বরে তাকবির ও তাহলিল পড়া হয়:
আরবি:
اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ اَنْجَزَ وَعْدَهُ وَ نَصَرَ عَبْدَهُ وَ هَزَمَ الْاَحْزَابَ وَحْدَهُ
উচ্চারণ:
আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িং কাদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু আনজাযা ওয়াদাহু, ওয়া নাসারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।
এর পরে দরুদ পাঠ করা এবং নিজের জন্য প্রয়োজনীয় দোয়া করে সাফা থেকে মারওয়ার দিকে চলতে শুরু করা।
সাফা-মারওয়া সায়ি এবং দোয়া
সায়ি (সাত বার যাওয়া-আসা) সম্পন্ন করার পর, মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে সাঈ শেষ করতে হয়। সবুজ চিহ্নিত স্থান অতিক্রম করার সময় পুরুষরা দৌঁড়ে অতিক্রম করবে, তবে নারীরা দৌঁড়াবে না। এর সময় নিম্নলিখিত দোয়া পড়া হয়:
আরবি:
رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ اَنتَ الْاَعَزُّ وَ الْاَكْرَم
উচ্চারণ:
রাব্বিগফির ওয়ারহাম আনতাল আআযযু ওয়াল আকরাম।
এটা পুরুষদের জন্য বিশেষভাবে করা হয়, যাদের দ্রুত অতিক্রম করা প্রয়োজন।
সায়ি শেষ হওয়ার পর দোয়া
সাফা-মারওয়া পাহাড়ে সায়ি শেষ হওয়ার পর এ দোয়া পাঠ করা হয়:
আরবি:
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الَعَلِيْمُ – وَ تُبْ عَلَيْنَا اِنَّكَ اَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحَيْمُ – وَ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى خَيْرِ خَلْقِهِ مُحَمَّدٍ وَّاَلِهِ وَ اَصْحَابِهِ اَجْمَعِيْنَ وَارْحَمْنَا مَعَهُمْ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ
উচ্চারণ:
রাব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাছ্ ছামিউল আলিম। ওয়অতুব্ আলাইনা ইন্নাকা আংতাত্ তাওয়্যাবুর্ রাহিম। ওয়া সাল্লাল্লাহু তাআলা আলা খাইরি খালক্বিহি মুহাম্মাদিউ ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমাইন ওয়ারহামনা মাআহুম বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।