umrah.com.bd
Islam

শবেকদরের বিশেষ আমল ও দোয়া

April 05, 2024
image

মহিমান্বিত মাস রমজানের শ্রেষ্ঠ রাত লাইলাতুল কদর। এ রাতে নাজিল হয় পবিত্র কোরআন।

 

লাইলাতুল কদরে আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের ক্ষমা করেন এবং হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালামসহ রহমতের ফেরেশতারা পৃথিবীতে আগমন করেন।

 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা ‘কদর’ নামে একটি সূরা নাজিল করেছে এবং তাতে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। ’

হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মাঝে রমজান আগমন করেছে।

তাতে রয়েছে এমন রাত যা হাজার রাতের চেয়ে উত্তম। যে সে রাত থেকে বঞ্চিত হলো- সে কল্যাণ থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হলো। আর হতভাগা ব্যক্তি ব্যতিত কেউ তার কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয় না। -সুনানে ইবনে মাজাহ

 

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার ও আত্মিক সাধনার মাধ্যমে রমজানে কদরের রাত ও তার কল্যাণ অনুসন্ধান করতেন। বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকে তিনি সব ধরনের জাগতিক কাজকর্ম থেকে অবসর হয়ে আল্লাহর ইবাদতে আত্মনিয়োগ করতেন। তিনি এ সময় ইতিকাফ করতেন এবং ইবাদতের মাধ্যমে কদরের রাত অনুসন্ধান করতেন।

 

কদরের রাতে রাসূল (সা.) দোয়া ও ক্ষমাপ্রার্থনা করতেন। হাদিসে একটি বিশেষ দোয়ার বর্ণনাও পাওয়া যায়। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলি, কদরের রাতে আমি কী বলবো, তিনি বলেন, তুমি পড়বে-

اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফউন। তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি।
 
অর্থ: হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন। -সুনানে নাসায়ি

কদরের রাতের আরেকটি দোয়ার বর্ণনা হাদিসে পাওয়া যায়। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) নিম্নের দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করতেন-

اللّهمّ إنّي أسألُك العافية في الدّنيا والآخرة، اللّهمّ إنّي أسألك العفو
 والعافية في ديني ودنياي وأهلي ومالي

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফিয়াতা ফিদ-দুনইয়া ওয়াল আখিরা। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আ-ফিয়াতা ফি দিনি ওয়া দুনইয়ায়া ওয়া আহলি ওয়া মালি। - আল আদাবুল মুফরাদ

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের অনুগ্রহ চাই। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আমার ধর্ম, আমার জাগতিক জীবন, আমার পরিবার ও সম্পদের ব্যাপারে ক্ষমা ও অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি।