Umrah.com.bd
News

ই-পাসপোর্ট কি? কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন, ফি ও নিয়ম | সম্পূর্ণ গাইড

June 06, 2025
image

ই-পাসপোর্ট কি?

ই-পাসপোর্ট হল ডিজিটাল প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত একটি পাসপোর্ট যা বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত একটি স্মার্ট পাসপোর্ট হিসেবে পরিচিত, কারণ এতে একটি ইলেকট্রনিক চিপ রয়েছে, যা পাসপোর্টের তথ্য সংরক্ষণ করে। এই পাসপোর্টে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিজিটাল ফরম্যাটে থাকে, যা দ্রুত এবং নিরাপদে যাচাই করা যায়।

ই-পাসপোর্টে সাধারণ পাসপোর্টের তুলনায় আরও বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে এবং এটি চুরি বা জালিয়াতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। এছাড়া ই-পাসপোর্ট যাত্রীর পরিচয় যাচাই করতে দ্রুত কার্যকরী হয়, যা বিমানবন্দর এবং সীমান্তে পাসপোর্ট যাচাই প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করে।

ই-পাসপোর্ট কিভাবে করবেন?

বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। নিচে সেই প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে দেয়া হল:

১. অনলাইনে আবেদন করুন:

  • ওয়েবসাইট ভিজিট করুন: প্রথমে বাংলাদেশের পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলো: https://www.epassport.gov.bd/

  • নতুন আবেদন শুরু করুন: ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘ই-পাসপোর্ট আবেদন’ সেকশনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পূর্ণ করুন।

২. ডকুমেন্টস প্রস্তুত করুন:

ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস তৈরি করতে হবে:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ (যদি জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে)

  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি: ছবি ডিজিটাল ফরম্যাটে আপলোড করতে হবে।

  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট: ই-পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হয়, যা ডকুমেন্টের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

৩. অনলাইনে ফি প্রদান করুন:

আপনি পাসপোর্টের ফি অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবেন। ফি নির্ভর করে পাসপোর্টের ধরন (যেমন ৩ বছর বা ৫ বছর মেয়াদী) এবং আবেদনকারীর বয়সের ওপর।

৪. ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া:

আবেদন ফর্ম পূরণ করার পর আপনার তথ্য ভেরিফাই করার জন্য পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। সেখানে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ছবি এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই করা হবে।

৫. পাসপোর্ট সংগ্রহ:

ই-পাসপোর্ট তৈরির পর, আপনাকে একটি নির্দিষ্ট তারিখে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে যেতে হবে। পাসপোর্টে চিপ এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলি থাকবে, যা সহজেই যাচাই করা যাবে।

ই-পাসপোর্ট করার ফি ও নিয়ম

ই-পাসপোর্টের ফি বয়স এবং মেয়াদের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন হতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ তথ্য দেওয়া হলো:

ই পাসপোর্ট এর মেয়াদ, বিতরনের সময় এবং ফি সমূহ

 ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছরের জন্য সাধারণ ফি (১৫ দিন) সাড়ে তিন হাজার টাকা।

জরুরি ফি (৭ দিন) সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা।

অতি জরুরি ফি (২ দিন) সাড়ে সাত হাজার টাকা।

 

৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ১০ বছরের জন্য সাধারণ (১৫ দিন) ফি পাঁচ হাজার টাকা,

জরুরি ফি (৭ দিন) সাত হাজার টাকা

অতি জরুরি ফি (২ দিন) নয় হাজার টাকা।

 

৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ৫ বছরের সাধারণ  ফি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা,

জরুরি ফি সাড়ে সাত হাজার টাকা

অতি জরুরি ফি (২ দিন) সাড়ে ১০ হাজার টাকা।

 

৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছরের জন্য সাধারণ ফি সাত হাজার টাকা

জরুরি ফি (৭ দিন) নয় হাজার টাকা

অতি জরুরি ফি (২দিন) ১২ হাজার টাকা।

 

এই ফি এর সাথে যথারিতি ১৫% ভ্যাট যুক্ত হবে।এছাড়া, ফি পরিশোধের পদ্ধতি অনলাইনে সিম্পল এবং নিরাপদ।

নিয়মাবলী:

  • অনলাইনে আবেদন: আবেদনকারীদের ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া: আবেদনকারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হবে। যদি কোন কারণবশত আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া সম্ভব না হয় (যেমন আঙ্গুলের ছাপ নাই), তবে পাসপোর্ট করা সম্ভব নাও হতে পারে।

  • নির্ধারিত সময়: সাধারণত পাসপোর্ট তৈরির সময় ৭-১০ দিন হতে পারে, তবে জরুরি ভিত্তিতে আবেদন করলে সময় কম হতে পারে।

  • পর্যাপ্ত তথ্য প্রদান: সঠিক তথ্য এবং ডকুমেন্ট প্রদান খুব গুরুত্বপূর্ণ, অন্যথায় আবেদন বাতিল হতে পারে।

উপসংহার:

ই-পাসপোর্ট আপনার ভ্রমণকে নিরাপদ এবং সুবিধাজনক করে তোলে। এটি দ্রুত যাচাই প্রক্রিয়া এবং নিরাপত্তা সুবিধা প্রদান করে। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং সাশ্রয়ী, ফলে আপনিও সুবিধা পেতে পারেন এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

আপনার যদি আরও কিছু প্রশ্ন থাকে বা বিস্তারিত জানার প্রয়োজন হয়, অনুগ্রহ করে মন্তব্য করুন।